আরজি কর মেডিকেল কলেজে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে যখন নির্যাতিতার মৃতদেহ সোদপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন মৃতদেহ শ্মশানে পোড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল নির্মল ঘোষ। এমনই বেশ কিছু ছবি আগেই সিবিআই এর হাতে এসে পৌঁছেছিল তখন থেকেই সিবিআইয়ের নজরে ছিল নির্মল ঘোষ। যার জন্য বারবার ঘোলা থানার আইসিকে তলব করা হয়েছিল। তিনি গড়হাজির ছিলেন। এরপরই একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেদিনের ভিডিও ফুটেজ দেখে সিবিআই। তারপরেই তলব।
বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন সাংসদ, বিধায়ক ও প্রশাসনের কর্তারা। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের লাভপুরে।স্থানীয়দের তৎপরতায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়। জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার, দুই সাংসদ, বিধায়ক সহ মোটব১৩ জন চেপেছিলেন স্পিড বোটে। প্রশ্ন উঠছে সেফটি জ্যাকেট না নিয়ে কেন স্পিড বোডে চড়লেন প্রশাসনের শীর্ষকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।জানা গিয়েছে, তিনদিনের অতি বৃষ্টিতে বীরভূমের লাভপুরে কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে নদী সংলগ্ন বলরামপুর গ্রাম সম্পূর্ণ ভেসে যায়। পাশেপাশের আরও কয়েকটি গ্রাম এখনও জলমগ্ন। ওই গ্রামগুলির সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। সেই সমস্ত গ্রামের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে বুধবার এলাকা পরিদর্শনে যান জেলা শাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহাসহ সহ মোট ১৩ জন। সেফটি জ্যাকেট ছাড়াই একটি স্পিড বোর্ডে তাঁরা দুর্গত এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আচমকা বোর্ডটি কুয়ে নদীতে উল্টে যায়। জেলা পুলিশ সুপার ছাড়া সকলেই নদীতে পরে যান। উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় সকলকে উদ্ধার করা হয়।নদী থেকে উঠে সাংসদ অসিত মাল বলেন, হঠাৎ নদীর স্রোতে স্পিড বোর্ড উল্টে যায়। আমি সাঁতার জানতাম। কিন্তু জলের স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাঁতার কাটতে পারছিলাম না। এরপর একটা গাছের ডাল ধরে ঝুলতে থাকি। কিছুক্ষনের মধ্যেই উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে। মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে এলাম।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় বাংলা। তারই মধ্যে এবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের হোস্টেল থেকে উদ্ধার মালদহের ফার্মাসি ছাত্রের মৃতদেহ। জাকির হোসেন ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র তোহিদ করিম। চলতি মাসের ১৩ তারিখ রাতে এই কলেজের হোস্টেল থেকে উদ্ধার হয় তোহিদের নিথর দেহ। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় রঘুনাথগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যায় পরিবার। অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ, দাবি পরিবারের। পুলিশের পক্ষে বলা হয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই অভিযোগ পত্র নেওয়া হবে। এখানেই শেষ নয়, কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং থানা থেকে জানানো হয় সংবাদমাধ্যমে না জানানোর জন্য।মৃত ছাত্রের বাবা রেজাউল করিমের অভিযোগ, ১২ তারিখ রাত্রে ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। ছেলে বাড়ি থেকে আমের আচার এবং ছাতু আনার কথা বলেছিল। আমার ছেলে কোনওরকম মানসিক অবসাদে ছিল না। যদি মানসিক অবসাদে থাকত তাহলে ১২ তারিখ রাতে ছেলের কথাবার্তায় আমরা বুঝতে পারতাম। আমি পেশায় লরি চালক সেই সূত্রে ১৩ তারিখ আমি রঘুনাথগঞ্জে ছিলাম। সকাল থেকে আমার ছেলের ফোন সুইচড অফ আসছিল। রাত নটা নাগাদ আমি হোস্টেলে যেতেই আমার ছেলের রুমমেট ফোন করে জানায় তোহিদ মারা গেছে। আমি হোস্টেলে গিয়ে দেখি আমার ছেলের নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ আমাদের দেখানো হয়নি। আমাদের খবর দেওয়া হয়নি অথচ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে। আমি না গেলে হয়তো জানতেই পারতাম না আমার ছেলে মারা গেছে। দেহ হয়তো লোপাট করা হত। পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তাই বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলছি আমি। পুলিশ বলেছিল, ময়না তদন্ত করার সময় আমাদের উপস্থিতিতে হবে অথচ আমাদের জানানো হয়নি এমনকি এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। পাল্টা আমাদের শাসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। মালদার ইংলিশ বাজার থানার যদুপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তোহিদ করিম। পাড়াতে খুব মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত ছিল সে। তাই তার মৃত্যু কোনওভাবেই আমরা মেনে নিতে পারি না। পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিলে আরজি করের ঘটনার মতো আমরা গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবো, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে আজ সোচ্চার হন তারা।তোহিদের ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে ভালো কিছু হওয়ার। এই ছেলে আত্মহত্যা করতেই পারে না। পরিকল্পনা করে হোস্টেলেই মারা হয়েছে তাকে। যেহেতু ওই ইনস্টিটটা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের। তাই পুলিশ এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে লিখিত অভিযোগ নিচ্ছে না। অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয় যদুপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য সেনাউল ইসলাম।
রাজ্যপালকে শপথের জন্য প্রয়োজন পড়ল না। অবশেষে বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকার। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। তবে এদিন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় নন, দুই তৃণমূল বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করাতে দেখা গিয়েছে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আশিসবাবু জানিয়েছিলেন তিনি শপথ বাক্য পাঠ করাবেন না। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা এবং কলকাতা লাগোয়া বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হন রেয়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জয়ের পরেও বেশ কিছুদিন তাঁদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়নি। বহু বিতর্কের শেষে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার এবং বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, অধ্যক্ষ বিধানসভায় হাজির থাকতে তিনি শপথ গ্রহণের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তিনি নিজেই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুই বিধায়ককে শপথ গ্রহণ করানোর জন্য আবেদন করেন।রাজ্য বিধানসভায় দুই তৃণমূলের বিধায়কের শপথ গ্রহণের সময় জয় বাংলা স্লোগান তুলতে দেখা যায় তৃণমূলের বিধায়কদের। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিধানসভার অধিবেশন চালু রয়েছে। তাই বিধায়কদের শপথ গ্রহণের ব্যাপারে চিঠিতে যে নির্দেশ রাজ্যপাল দিয়েছিলেন তা এদিন মান্যতা পায়নি। বিধানসভার রুলস অফ বিজনেসের ২ নম্বর অধ্যায়ের ৫ নম্বর ধারা মেনে তিনি জয়ী বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন। যদি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই শপথ অনুষ্ঠানকে বেআইনি বলে দাবি করেছেন।
দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণের জট কাটাতে এবার উপরাষ্ট্রপতি তথা প্রাক্তন রাজ্যপালকে ফোন করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমন বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে কিছুতেই কাটছে না জটিলতা। এবার উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজভবন এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে দড়ি টানাটানি তুমুল পর্যায়ে পৌঁছেছে।একদিকে তৃণমূলের নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক চাইছেন বিধানসভায় শপথ নিতে। পাশাপাশি রাজ্যপাল চাইছেন বিধায়করা শপথ নিন রাজভবনে। বিধানসভায় শপথ নিতে চেয়ে তৃণমূলের দুই বিধায়ক রাজভবনে চিঠি দিয়েছেন। তবে সিভি আনন্দ বোসও পাল্টা চিঠিতে তাঁদের জানিয়েছেন বিধায়কদের শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজ্যপালই শেষ কথা বলবেন।এদিকে এর মাঝেই আজ উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে ফোন করে দীর্ঘ সময় তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় এর আগে বাংলার রাজ্যপাল পদে আসীন ছিলেন। তিনি রাজ্যপাল থাকার সময় নানা জটিলতা, সংঘাত তৈরি হয়েছিল রাজ্যের সঙ্গে। পরে বিধানসভায় এসে উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান তিনি। এখন তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদে আসীন। তিনি এরাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তিনি যাতে বর্তমান রাজ্যপালকে বিধানসভায় এসে নতুন বিধায়কদের শপথ গ্রহণের অনুরোধ জানান, সেই কারণেই এদিন ধনখড়কে ফোন করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মাঝেই রাজ্যপালকে সরাসরি নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাজভবনে যা চলছে মেয়েরা শপথ নিতে যেতে ভয় পাচ্ছে। তৃণমূলের নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক চাইছেন বিধানসভায় শপথ নিতে। তবে রাজ্যপাল চাইছেন বিধায়করা শপথ নিন রাজভবনেই। বিধানসভায় শপথ নিতে চেয়ে তৃণমূলের দুই বিধায়ক ইতিমধ্যেই রাজভবনে চিঠি পাঠিয়েছেন।তবে সিভি আনন্দ বোসও পাল্টা চিঠিতে তাঁদের জানিয়েছেন, বিধায়কদের শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজ্যপালই শেষ কথা বলবেন। বিধানসভা নয়, দুই বিধায়ককে শপথ নিতে হবে রাজভবনেই। তাঁর নির্দেশ অমান্যে বিধায়কদের জরিমানার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল।উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভগবানগোলা এবং বরানগর কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের রেয়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবনির্বাচিত এই দুই বিধায়ককে শপথ নেওয়ার জন্য রাজভবনে যেতে বলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
ভোটের প্রচারে গিয়ে ফের পুরস্কারের টোপ দিলেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। গতকাল নৈহাটিতে তিনি বলেন, যে পঞ্চায়েত আগামী ভোটে বেশি লিড দেবে, সেখানে আবাস যোজনার টাকা ডিসেম্বরের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে। তৃণমূল প্রার্থীর বক্তৃতার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। ওয়াকিবহাল মহলের মত, ভোট এলেই বন্যা আসে। প্রতিশ্রুতির বন্যা। সেই প্রতিশ্রুতি যে শুধু ভোটারদের জন্য তা কিন্তু নয়। গিফট আছে দলীয় নেতা-কর্মীদের জন্যও।ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বলেন, চারটে পঞ্চায়েতের জন্য একটা ঘোষণা আছে। আজকেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, এটা আমাদের ঘোষিত নীতি যে পঞ্চায়েত এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতাবে, সেই পঞ্চায়েতের আবাস যোজনার সমস্ত টাকা এই ডিসেম্বরের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়ে দেবেন। যে পঞ্চায়েত এই নির্বাচনে তৃণমূলকে লিড দেবে, তাদের প্রত্যেকের বাড়ির, আবাস যোজনার টাকা ডিসেম্বরের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়ে দেবেন। কালকে আমডাঙায় বলেছিলাম, যে অঞ্চল লিড দেবে, তার প্রাইজ আছে। নির্বাচন কমিশনে নালিশ হল আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন কী প্রাইজ দেবেন। আমি বললাম, অকুণ্ঠ ভালোবাসা। আপনাদের মনে আছে ২০২১ সালের পরে এখানে প্রাইজ হয়েছিল, আমি আর কিছু বলছি না২০২৪-এও প্রাইজ হবে। এর আগেও ভোটের প্রচারে গিয়ে ফের পুরস্কারের টোপ দিয়েছিলেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার নৈহাটিতে এক কর্মিসভায় যোগ দেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর বক্তৃতার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। এর আগে রবিবার আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানের সঙ্গে একটি কর্মীসভায় যোগ দেন পার্থ ভৌমিক। সেখানেও লিড দিলে পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেন তাঁরা।
কালীঘাটের বৈঠকে নেত্রীর থেকে ধমক খেয়েও ক্ষান্ত হলেন না হুমায়ুন কবীর। উল্টে জোড়া-ফুল নেতৃত্বকেই ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। মমতার শাসন থেকে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার, বহরমপুরে অধীর চৌধুরীকে হারানো, দলে যুবনেতাদের উত্থান নিয়ে শনিবার অকপট হুমায়ুন। যা কার্যত আরও চাপ বাড়াল রাজ্যের শাসক শিবিরের ওপর।শুক্রবার মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক ও নেতৃত্বের সঙ্গে কীলাঘাটে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন অভিষেকও। সেখানেই হুমায়ুন কবীরের বেশ কিছু মন্তব্য ও কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেত্রী তাঁকে ধমকে দেন।শনিবার এ সম্পর্কে হুময়ান বলেন, এটা তিরস্কারের বিষয় নয়। কথায় বলে ভালোবাসেন যিনি তিনিই শাসন করেন। দিদি আমাকে স্নেহ করেন। আমি ভুল করলে উনি শুধরে দেন। এতে আমার কিছু বলার নেই। আমি ওনাকে যোগ্য নেতৃত্ব বলে মনে করি ও অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি।হুমায়ুন কবীরের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামকে সামনে রেখে কিছু লোক মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের পাট্টা বসে আসেন। তাদের অঙ্গুলি হেলনে চলা মেনে নেওয়া যায় না। মুর্শিদাবাদের মানুষকে যেন ভুল ট্রিটমেন্ট না করা হয়। মনে রাখতে হবে মুর্শিদাবাদ একসময়ে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যাকে নেতৃত্ব দিয়েছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার অভিভাবক। তিনি শাসন করতেই পারেন। কিন্তু ২৬, ২৮, ৩০ বছর বয়সী চ্যাং ব্যাংরা ৬৮-৭০ বছর বয়সী নেতাদের মূল্যায়ন করবে, কর্তৃত্ব দেখাবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। লোকসভার আগে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব তৃণমূলে মাথাচাড়া দিয়েছে। যা নিয়ে হুঙ্কারও ছেড়েছেন তৃণমূল নেত্রী। হুমায়ুনের নিশানায় দলের কোন যুব নেতৃত্ব তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি ভরতপুরের বিধায়ক।আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। তিনি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। নিজেকে যথার্থ নেতা বলে প্রমাণ করেছেন। দলের একজন কর্মী হিসাবে অভিষেকের কাছে আমার অনুরোধ, মুর্শিবাদের মানুষের প্রতি সুবিচার করুন। কারও কথা শুনে কারও প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ করবেন না।আবারও মুখ খোলায় যদি তাঁকে তৃণমূল বহিষ্কার করে? জবাবে হুমায়ুন কবীর বলেন, সাসপেনশন নিয়ে আমি ভাবি না। মনে রাখতে হবে মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে হুমায়ুন কবীর একটা বিরল নাম। দল আমাকে বহিষ্কার করবে কি না সেই সিদ্ধান্ত দলকেই নিতে হবে। বহিষ্কার করলে তখন সিদ্ধান্ত নেব। আমি কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসদ দলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, কাজেই আমার চিন্তার কিছু নেই।বহরমপুর অধীরের গড়। পরপর পাঁচবার সেখান থেকে সাংসদ তিনি। ইন্ডিয়া জোটের তোয়াক্কা না করে শুক্রবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের ৪২ লোকসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী দেবে তৃণমূল। অর্থাৎ অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেখা যেতে পারে জোড়া-ফুল প্রার্থীকে। এ নিয়ে হুমায়ুন কীর বলেন, বহরমপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার ওপর ভরসা রাখলে আমি অধীর চৌধুরীকে ২ লক্ষের বেশি ভোটে হারাব। দেখিয়ে দেব আমাকেও নেতা বলে সকলে মানে।
সন্দেশখালির ঘটনার পর ফের ময়দানে ইডি। এবার শহর কলকাতায় ত্রিফলা অভিযানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুক্রবার সকালে সল্টলেক সিজিও কমল্পেক্স থেকে ইডির একাধিক দল বিভিন্ন দিকে বেরোয়। রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এরই পাশাপাশি বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডির আরও একটি দল। এছাড়াও উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডির অন্য একটি দল। মূলত পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই এই অভিযান বলে খবর।শুক্রবার সাতসকালে রাজ্যের এক মন্ত্রী ও আরেক বিধায়কের বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিরা। সুজিত বসুর দুটো বাড়িতেই হানা দেয় ইডি। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে তল্লাশি চলছে বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের বৌবাজারের বাড়িতে। উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন প্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বিরাটির খলিসাকোটার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডির আধিকারিকরা। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির এই তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে।
বড়দিন লেকটাউন পরিণত হয় মিনি পার্কস্ট্রিটে। রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে পার্ক স্ট্রিটকে। রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর তত্ত্বাবধানে শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় লেকটাউন পরিণত হল মিনি পার্কস্ট্রিটে। বছরের শেষ কটা দিন আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে শহরবাসী। পার্কস্ট্রিটে অ্যালেন পার্কে ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ মানুষ। সেই ভিড় এবার লেকটাউন শ্রীভূমিতে।গত কয়েক বছর ধরে লেকটাউনে শুরু হয়েছে পৌষ পার্বন উৎসব। সেই উৎসব রবিবার সন্ধ্যায় উন্মোচন হল সুজিত বসুর হাত ধরে। এদিন এক বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রার মাধ্যমে উৎসবের সূচনা করেন মন্ত্রী। শোভাযাত্রায় সান্তা ক্লজ থেকে শুরু করে বাঙালিদের পিঠেপুলি সবই সামিল। এক কথায় বড়দিনের প্রাক্কালে আলোয় সেজে উঠেছে শ্রীভূমি।
জেলবন্দি মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবকৃষ্ণ সাহা। চলতি বছর এপ্রিলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে কান্দির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তল্লাশির সময় মহানাটক হয়েছিল। নিজের ফোন পাঁচিল বেয়ে উঠে বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ছিল শাসক দলের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে। জীবনের গ্রেফতারের পরই অনেকে বিদায়কের প্রতাপ ও প্রভাব নিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন জীবনকৃষ্ণের বাবা বিশ্বনাথ সাহাও। তাঁর দাবি নিয়ে শোরগোল পড়েছিল। বিশ্বনাথ সাহার দাবি ছিল, ছেলে বিধায়ক হওয়ার পর তাঁকে মারধর করে কান্দির বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।ছেলের গ্রেফতারির পর নিজের কান্দির বাড়ি ফেরৎ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়ে একটি মামলা করেছিলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বাবা বিশ্বনাথ। বুধবার সেই মামলা শুনলেন না বিচারপতি। উল্টে তা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন নিম্ন আদালতে। এ দিন মামলাটি কলকাতা হাইোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে উঠলে তাঁর পরামর্শ ছিল, এটি একান্তই পারিবারিক একটি বিষয়। নিম্ন আদালতে আবেদন করা হোক।কান্দির বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বাবা বিশ্বনাথ সাহা অভিযোগ করেছিলেন যে, ২০২৩-য়ের প্রথম দিকে তাঁকে মারধর করে ছেলে বাড়ি থেকে বের করে দেন। ওই বাড়িতে তাঁর রেশন ডিলারশিপ অফিস ছিল। ছেলের ভয়ে এখন সেটা খুলতে পারছেন না তিনি। স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। পাল্টা পুলিশের দাবি, ওই বাড়িটি ভাড়ার, ওটার মালিকানা নিয়ে জটিলতা রয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে আবারও টাকা পাহাড় মিললো। এবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে মিলল কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। টাকা গুণতে মেশিন আনেন তদন্তকারীরা। বিপুল পরিমাণ এই টাকার উৎসের খোঁজ শুরু করেছে সিবিআই। তবে বিধায়কের দাবি, একটি জমি বিক্রি করেই এই টাকা পেয়েছেন তিনি। জাফিকুল ইসলামের এই দাবির পিছনে সত্যতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।রাজ্যজুড়ে আজ ফের একবার ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতার একাধিক এলাকার পাশাপাশি কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদে তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই। রাজ্যে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই দিকে দিকে চলে এই অভিযান। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা।সেই বাড়িতেই তল্লাশিতে মোট ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের দাবি। তবে বিধায়ক নিজে দাবি করেছেন, এই টাকা একটি জমি বিক্রি মাধ্যমে তাঁর কাছে এসেছে। যদিও তৃণমূল বিধায়কের এই দাবির পিছনে আদৌ সত্যতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগা জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে ঢোকেন তদন্তকারীরা।জানা গিয়েছে, জাফিকুল ইসলামের বেশ কয়েকটি কলেজ রয়েছে। বিএড এবং ডিএড-এর পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে তাঁর। এদিন বেশ কিছুক্ষণ তাঁর বাড়িতে তল্লাশির পর ওই বাড়িতে ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের ডাকে সিবিআই। আনা হয় টাকা গোনার মেশিন। সূত্রের খবর মোট ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল জাফিকুলের।
দোর্দদণ্ডপ্রতাপ সিপিআইএম নেতা তরিৎ তোপদার, ব্যারাকপুরের বেশ কয়েকবারের সাংসদ। আরেজন রাজ চক্রবর্তী, চিত্র পরিচালক। পরে রাজনীতিতে যোগদান। ২০২১ সালে তৃণমূলের প্রতীকে ব্যারাকপুরেরই বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনীতির পরিসরে এই দুজন যুযুধান দুই শিবিরের। এবার ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ তড়িৎবরণ তোপদারের বাড়িতে আচমকা দেখা গেল তৃণমূলের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে। হঠাৎ কেন এই সাক্ষাৎ? তা নিয়েই আপাতত জল্পনা তুঙ্গে।তবে এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক নয়, নেহাতই সৌজন্য বলে দাবি দুতরফেরই। কিন্তু, দাপুটে সিপিএম নেতার বাড়িতে তৃণমূল বিধায়কের যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।শুক্রবার প্রবীণ বাম রাজনীতিবিদ তড়িৎবরণ তোপদারের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের কথা হয়েছে। কী নিয়ে কথা হল?প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎ তোপদারের পুত্র নীলাদ্রি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, চিত্রপরিচালক তথা বিধায়ক রাজ ব্যারাকপুর নিয়ে একটি ছবি তৈরি করতে আগ্রহী। সেইসব নিয়ে আলোচনার জন্যই রাজ তড়িৎবাবুর বাড়িয়ে গিয়েছিলেন। নীলাদ্রি তোপদারের কথায়, উনি (রাজ চক্রবর্তী) একটি তথ্যচিত্র তৈরি করবেন। তাতে বাবার নানা কাজের কথা থাকবে।সেসব নিয়ে কথা বলতেই উনি এসেছিলেন। বাবা বাড়িতেই ছিলেন। তবে ঠিক কী কথা হয়েছে তা বলতে পারব না। অফিস থেকে ফিরে এসে জানতে পারি বাবার সঙ্গে ব্যারাকপুরের রাজনীতি নিয়ে কথা হয়েছে রাজের। ব্যারাকপুরের আগে কী পরিস্থিতি ছিল, তারপর কীভাবে অবস্থার বদল ঘটলো, এসবই কথা হয়েছে বলে জেনেছি।
সহবাস ও ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলায় শর্তসাপেক্ষে আগাম জামিন মঞ্জুর হল ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। সোমবার আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।হাইকোর্টের নির্দেশ, তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে নওশাদকে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, তদন্তকারী আধিকারিকের অনুমতি ছাড়া রাজ্যের বাইরে যেতে পারবেন না নওশাদ। এছাড়াও, নওশাদ সিদ্দিকিকে সপ্তাহে দুদিন তাঁকে বউবাজার থানায় হাজিরা দিতে হবে।ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদের বিরুদ্ধে সহবাস, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন মুর্শিদাবাদের ডোমকল শহর তৃণমূল কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদিকা। ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতার বৌবাজার থানায় নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়। এফআইআরে অভিযোগকারিণীর দাবি, দেড় বছর আগে তাঁকে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে নিজের অফিসে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন নওশাদ। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বেশ কয়েক বার সহবাস করেছেন আইএসএফ বিধায়ক। অভিযোগ, এরপর অভিযোগকারিণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাঁকে এড়িয়ে যেতে থাকেন নওশাদ। বিধায়ক কখনও নিজে, কখনও সহকারীদের দিয়ে তরুণীকে হুমকি দিয়েছেনএরপর গত ৭ জুলাই আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নওশাদকে এদিন আগাম জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
বর্ষা এলে মশা, মাছি, মৌমাছির উৎপাত বাড়ে। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। ওষুধ দিলে ঠিক হয়ে যায়। নাম না করে দলীয় কার্যালয়ের জবরদখলের ঘটনায় এভাবেই জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে কটাক্ষ করলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। কয়েকদিন আগেই ভাটপাড়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাডাঙ্গায় সম্মেলনী ক্লাব সন্নিহিত তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের দখলদারী নিয়ে আচমকা বির্তকের অভিযোগ উঠেছিল দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই কার্যালয়ে তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই খবর পৌঁছেছিল সাংসদ অর্জুন সিং এর কাছে। দিল্লি থেকে ফিরে শনিবার সাংসদ পৌছলেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সেই দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর দেবপ্রসাদ সরকার। এছাড়াও ছিলেন তৃণমূল নেতা মন্নু সাউ ও অন্যরা। এদিন অর্জুন সিং বলেন, সিপিএম আমলে যখন কোথাও কোনও বসার জায়গা ছিল না এটাই ছিলো আমাদের দলীয় কার্যালয়। তখন কোনও তৎকাল তৃণমূল নেতাকে সেখানে দেখা যায়নি। শ্রমিক ইউনিয়নের পার্টি অফিস মিলের গেটের সামনে হয়। এখানে কারা এরকম ঘটনা করাচ্ছে সেই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কিছু অ্যাকসিডেন্টাল তৃণমূল নেতার জন্য দলের এভাবে বদনাম হচ্ছে বলে দাবি অর্জুন সিংয়ের। যদিও বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের প্রতিক্রিয়া জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া মেলেনি। জানা গিয়েছে, তিনি এদিন শনি পুজো দিতে ব্যাস্ত ছিলেন।
প্রাথমিকের পোস্টিং দুর্নীতির তদন্তে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে তোলপাড় কাণ্ড। মঙ্গলবার রাতেই অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপর বুধবার সকাল থেকে মানিককে দফায় দফায় জেরা চলে। এসবের মধ্যেই এদিন হাইকোর্টে ফের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের তরফে শিক্ষা দফতরের সচিবকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। শিক্ষকের স্থানান্তর সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, পূর্ব বর্ধমান জেলা শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে। কিন্তু চেয়ারম্যানের পরিবর্তে পর্ষদের একজন আপার ডিভিশন ক্লার্ক এই হলফনামা জমা দেওয়ায় চরম অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। সেই কারণে পর্ষদ চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।কেন তিনি নিজে যাননি? তারওপর আপার ডিভিশন ক্লার্ককে পাঠিয়েছেন দিয়ে হলফনামা জমা দিতে। জবাবে মধুসূদন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, তিনি করোনা ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি নিজে না গিয়ে অন্য একজন পর্ষদ কর্মীকে দিয়ে হলফনামা জমা করিয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনাও করেন তৃণমূল বিধায়ক।মধুসূদনের বক্তব্য শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অসুস্থ হলে পদত্যাগ করুন। অন্য লোক কাজ করবেন। আমি মনে করি আপনি শারীরিকভাবে এই পদে কাজ করতে অপারগ। এরপরই পর্ব বর্ধমানের জেলা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশের দেন বিচারপতি। পাশাপাশি শিক্ষাসচিবকে আদালতের নির্দেশ কার্যকরে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে বলেন।দিল্লি থেকে দুপুরে কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রণম্য। আমি আমার রাজনৈতিক পরিচয় সরিয়ে বলছি, উনি সমাজ সংস্কারক। তাঁর একের পর এক নির্দেশ বঞ্চিত হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীদের আশার আলো দেখাচ্ছে। শুধু চাইব দোষীদের শাস্তি হোক।
নিজেই খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বিশেষ করে ভাঙড়ে পঞ্চায়েতে মনোনয়নে অশান্তি হওয়ার পর সেই শঙ্কা বেড়ে যায় নওশাদের। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েও কোনরকম নিরাপত্তা না পাওয়ার কারণে মাননীয় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।নওশাদ বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে। সেই অনুযায়ী রবিবার বেলা চারটের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (CISF) সাতজনের একটা টিম আমার বাড়িতে এসে পৌঁছায় এবং আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করে।তবে কোন ক্যাটাগরির নিরাপত্তা তিনি পেয়েছেন তা জানা যায়নি। নওশাদ বলেন, কোন ক্যাটাগরির নিরাপত্তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে সে বিষয় এখনো স্পষ্ট হয়নি, আগামীকাল কলকাতা হাইকোর্টে আমার নিরাপত্তা বিষয়ক মামলার শুনানি আছে হয়তো সেখানে বিস্তারিত জানতে পারবো।
মনোরঞ্জন ব্যাপারী, আব্দুল করিম চৌধুরীর পর এবার বেসুরো আরও এক তৃণমূল বিধায়ক। মুখ খুললেন শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এবার পঞ্চায়েতের প্রচার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। বিধায়ক বলেন, এবার যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। একাধিক জায়গায় তৃণমূলের অন্তর্কলহ সামনে চলে এসেছে। প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় একাধিক দাপুটে নেতা মুখ খুলেছেন দলের বিরুদ্ধে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন মগরাহাটের গিয়াসউদ্দিন মোল্লা।তাঁর কথায়, আমি ৪৯ হাজার ভোটে জিতেছি। কিন্তু এবার প্রার্থী হয়েছে ৫০-৫০। অর্থাৎ তাঁর প্রার্থী ৫০ শতাংশ। বাকি অন্যদের। গিয়াসউদ্দিন সাফ জানিয়েছে, এই প্রার্থীদের হয়ে তিনি প্রচার করতে পারবেন না।অভিমানের সুরে গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমার উপর হয়তো দল আর ভরসা করতে পারছে না। আমি তালিকা দিয়েছিলাম। পরে দেখলাম সেখান থেকে ৫০ শতাংশ প্রার্থী। বাকি ৫০ শতাংশের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। মগরাহাট ১-নম্বরে ব্লকের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মানবেন্দ্র মণ্ডলকে নিশানা করেছেন তিনি। বিধায়কের দাবি, বাকি ৫০ শতাংশ প্রার্থী তাঁর। যাঁদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও বিধায়কের দাবি মানতে নারাজ মানবেন্দ্র। তাঁর কথায়, দল যাকে ঠিক মনে করেছে তাঁকে প্রার্থী করেছেন। উনি অবসাদে ভুগছেন।
দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির সদস্য, হুগলী জেলা (জোনাল ৬) ও সাধারণ সম্পাদক পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য তৃণমুল কংগ্রেস কমিটি, উক্ত দুটি দলীয় পদ থেকে ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করলাম, বুধবার তিনি ফেসবুকে ঘোষণা করেন।মনোরঞ্জন ব্যাপারী লিখেছেন, বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেবার ইচ্ছা ছিল যেহেতু আগে আমি একটি চাকরি করতাম, নির্বাচনে দাঁড়াবার জন্য সেটি ছাড়তে হয়েছিল। দু বছরের অধিক সময় হয়ে গেল পঞ্চাশ বার ছোটাছুটি করেও যার পেনশন ও গ্রাচুইটির কিছু পাইনি, তাই এই মুহূর্তে বিধায়ক পদ ছাড়তে পারছি না। তা হলে খাবো কী? যেদিন পেনশন পেতে আরম্ভ করব এই পদ থেকেও সরে দাঁড়াব।তাঁর কথায়, এতদিনে বুঝতে পেরেছি এই রাজনীতি আমার মতো মানুষের জন্য নয়।
তৃণমূল বিধায়ক এবার সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন ব্লক সভাপতির দিকে। হুগলির বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারির দাবি, ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্য়ায় টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের টিকিট বিক্রি করেছেন। এর আগে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে ওই তৃণমূল ব্লক সভাপতি ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন বলেও ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট লিখেছেন বলাগড়ের বিধায়ক। তাঁর লেখা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ব্লক সভাপতি যে চোর সেই প্রমানও বিধায়কের কাছে আছে বলে ওই পোস্টে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিরোধীরা বলতে শুরু করেছে, বিধায়কই যেখানে দুর্নীতির অভিযোগ করছেন দলীয় নেতার বিরুদ্ধে তাহলে কিছু আর বলার নেই। দুর্নীতিতে যুক্তদের নিয়ে তৃণমূল চলছে বলে স্বয়ং বিধায়কই প্রকাশ্যে অভিযোগ করছেন।রবিবার মনোরঞ্জন ব্যাপারি ফেসবুকে কি লিখেছেন?আজ টিভিতে সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে আমি নাকি টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত প্রার্থীকে নির্বাচনে টিকিট দিচ্ছি। এই অভিযোগ এনেছে সেই ব্লক সভাপতি যে নিজে কয়েকদিন আগে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লোকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে নাক কান মুলে সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন। ফেরত দিতে আমি বাধ্য করেছি। এক প্রমাণিত চোর আমার গায়ে কাদা ছেটাচ্ছে। এর চেয়ে অবাক ব্যাপার আর কী হয়। বলাগড় ব্লকে সর্বমোট পঞ্চায়েত সিট ২২৪, আমি তার মধ্যে পেয়েছি ১০৯টি টিকিট। বাকি সব টিকিট পেয়েছে ওই ব্লক সভাপতি। যার নামে বলাগড়ের আকাশে বাতাসে ভাসছে টাকা নিয়ে পঞ্চায়েতে প্রার্থী টিকিট বিক্রির গল্প। আমি যে টিকিট পেয়েছি কাল সেই টিকিট প্রার্থীদের হাতে তুলে দেব। আমি চ্যালেঞ্জ করছি যে কেউ এসে তাদের কারও মুখ থেকে যদি বলাতে পারেন কারও কাছ থেকে আমি পাঁচ পয়সা নিয়েছি আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব! আর কেউ যদি প্রমান চান ব্লক সভাপতি কত বড় চোর আমার কাছে তার অনেক প্রমাণ আছে। নিজের চোখে দেখে যেতে পারেন। যদিও ব্লক সভাপতির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।মমতা বন্দ্য়োপাধ্যাযের দলের বিধায়কের এই পোস্ট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একেই বিরোধীরা ক্রমাগত চুরি ও দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন এভাবে তৃণমূল বিধায়ক ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় চরম অস্বস্তিতে পড়ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনের প্রচার একেবারে জমজমাট। ইতিমধ্যেই সেখানে প্রচার সেরেছেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবাসরীয় প্রচারে গিয়ে জয়ের ব্যবধানের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, উপনির্বাচনে একটা বুথেও হারলে সেটা হবে মীরজাফরের বুথ। কোনও বুথেই হারা চলবে না বলেই জনসভায় জানিয়ে দিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেখান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপির যোগসাজশ চলছে। ভোটে জিতলেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপিতে চলে যাবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কি করে শুভেন্দু বলছেন সংখ্যালঘু বুথগুলিতে আর যেই হোক জোড়াফুল জিতবে না। সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ২ মার্চ ভোটগণনা। এখানে বিজেপি, তৃণমূল ও কংগ্রেসের প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হচ্ছে। বামেরা এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করছে। লড়াই ত্রিমুখি হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৬-তে কোনওরকমে জয় পেয়েছিল তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সাহা। রাজ্যর এই মন্ত্রীর অকাল প্রয়াণের কারণেই এই উপনির্বাচন। সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। স্বভাবতই তার আগে এই উপনির্বাচন সব দলের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।